কোনো বিপদে পড়লে যে দোয়া পড়বেন

বড় কোনো বিপদ অথবা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়লে— অনবরত আল্লাহর দুইটি গুণবাচক নাম জপতে থাকুন; বদর যুদ্ধের কঠিন দিনে নবীজি (সা.) এমনটি করেছিলেন। এমনকি এগুলো মহান আল্লাহর ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত।

নবী কারিম (সা.) জীবনে যে কয়টি দিনে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ এবং ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তার মধ্যে বদর যুদ্ধের দিনটি অন্যতম। হাদিসে এসেছে— সেদিন তিনি অত্যন্ত বিনয় আর কাতরকণ্ঠে আল্লাহকে ডাকছিলেন আর দোয়া করছিলেন—

‘হে আল্লাহ!...যদি এই ক্ষুদ্র দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে আজকের দিনের পর থেকে জমিনে আর কখনো তোমার ইবাদত করা হবে না।’ এমনভাবে তিনি দোয়া করছিলেন যে, তার কাঁধ হতে চাদর পড়ে গিয়েছিলো। এ দৃশ্য দেখে আবু বকর (রা.) ছুটে এসে চাদর তুলে দিয়ে— তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে হে আল্লাহর রাসুল! আপনার রবের নিকট আপনি চূড়ান্ত প্রার্থনাই করেছেন।’ (ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ, হাদিস : ৪৪৮০)

সেই কঠিন মুহূর্তে নবিজি আর কী করছিলেন? আলি ইবনু আবি তালিব (রা.) বলেন, ‘বদরের যুদ্ধের দিনে আমি কিছুক্ষণ যুদ্ধ করে এসে দেখি— নবীজি সিজদারত অবস্থায় আছেন আর শুধু বলছেন— يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ

উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম

 

অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী

এর বেশি কিছুই বলছেন না।’ এরপর আলি (রা.) আবার যুদ্ধ করতে চলে যান। আবার ফিরে আসেন; এসে দেখেন— নবীজি একই অবস্থায় আছেন। এভাবে কয়েকবার এসে তিনি একই অবস্থায় পেয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নবী (সা.)-কে বিজয় দান করেন। (ইমাম হাইসামি, মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস : ১০/১৪৭; ইমাম হাইসামি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সনদ হাসান)

যখন পৃথিবীটা সংকীর্ণ মনে হবে, চোখ-মুখ অন্ধকার হয়ে যাবে; তখন খুব বেশি করে ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম’ পড়া উচিত। নবী (সা.) তার অন্যতম সংকটময় মুহূর্তে এটি পড়েছিলেন, আল্লাহ্ সফলতা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও আমাদের যেকোনো দোয়ার মধ্যে কিছু সময় পরপর এই বাক্য দুটো বারবার বলার অভ্যাস করা উচিত। কারণ, এগুলো ইসমে আযমের অন্তর্ভূক্ত। (ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৪৯৬)

হাফিজ ইবনুল কাইয়্যিম (রা.) বলেন, ‘দোয়া কবুল এবং দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে আল্লাহর ‘আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম’ নামের এক বিশেষ প্রভাব রয়েছে।’ (যাদুল মাআদ : ৪/১৮৮)

নবীজির খাদেম বিশিষ্ট সাহাবি আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে কোনো বিষয় কষ্টকর (দুঃসহ) মনে হলে তিনি বলতেন— 

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগি-স।

অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের উসিলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৪)

 

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ আজ




জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ আজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামের ভর্তি কার্যক্রমে বিষয়ভিত্তিক ১ম মেধা তালিকা ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখ প্রকাশ করা হবে। উক্ত ফল বিকেল ৪:০০ টায় যে কোন মোবাইল থেকে  এন.ইউ-এর মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তির মেধা তালিকা আগামীকাল প্রকাশ SMS এর মাধ্যমে SMS এর মাধ্যমে nu<space>atmf<space>roll লিখে ১৬২২২ নম্বরে ঝবহফ করে এবং রাত ০৯.০০ টায় ওয়েব সাইট www.nu.edu.bd/admissions অথবা admissions.nu.edu.bd থেকে ফল পাওয়া যাবে। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামের ক্লাস ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে।

(মোঃ ফয়জুল করিম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ছেলে কী মেয়ে সন্তান নির্ভর করে শুক্রাণুর উপর


অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।

·         বাসর রাত ! প্রথমবার শারীরিক মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
·         নাক ছাড়া জন্ম নিয়েছিল এই শিশু ! দয়া করে সবাই তার জন্য প্রার্থনা করুন
·         যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে খাদ্যতালিকায় ৫টি খাদ্য
·         গর্ভবতী হতে স্বামীর সাথে কখন মিলিত হবেন ? 

এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

যেসব খাবার ফুসফুস পরিষ্কার রাখবে


আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে ফুসফুস অন্যতম। এটি সাধারণত আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই চালিত হয়। কাজেই ফুসফুস চারপাশের বায়ু থেকে নানা ক্ষতিকর উপাদান গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের নানা সমস্যা বিশেষ করে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, সাইটিক ফিব্রোসিস প্রভৃতি হতে পারে। কাজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম, বায়ু দূষণ এড়ানো এবং ধূমপান না করা প্রভৃতি অনেক জরুরি। তবে এগুলোই যথেষ্ট নয়। সুস্থ থাকতে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতেই পারেন যা আপনার ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার রাখবে যেসব খাবারঃ
রসুন
রসুনে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার অ্যালিসিন রয়েছে। এগুলো প্রদাহের নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যাজমা সমস্যা সমাধানেও রসুন অনেক বেশি কার্যকরী। সেইসঙ্গে এটি ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
আদা
অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় আদাও ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত আদা-চা খেতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে লেবুও যোগ করতে পারেন। এগুলো শ্বাসনালীর বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
হলুদ
রসুন এবং আদার মতো হলুদেও অ্যান্টি-আনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
আপেল
আপেলে ফ্লাভোনয়েড নামে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যেটি শ্বাসনালীর সিস্টেমকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এই খাবারটি ফুসফুসের নানা সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করে।

·         বাসর রাত! প্রথমবার শারীরিক মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
·         জানেন কি দেহের ফাটা দাগ দূর হবে ভিক্স ব্যবহারে!
·         যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে খাদ্যতালিকায় ৫টি খাদ্য
·         মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতের বেলা সেরে ফেলুন ছোট্ট এই রূপচর্চা

আঙ্গুর
আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং ভিটামিন রয়েছে, যা ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে এই খাবারটি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত। এটি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বেদানা
ফুসফুসের নানা ক্ষতি এড়াতে এই খাবারটির জুড়ি মেলা ভার। কাজেই ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত এই খাবারটি খান।

বাদাম এবং মটরশুঁটি
প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় অ্যাজমা রোগীদের এসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের দক্ষতা উন্নত করতেও সাহায্য করে।

পেস্তা বাদাম
ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পেস্তা বাদামের তুলনা নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই খাবারটি ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে পেস্তা বাদাম।

গোলমরিচ
শ্বাসনালীর যে কোন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে গোলমরিচ। কাজেই ফুসফুসকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত এই খাবারটি খান।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড বিশেষ করে ভিটামিন বি৬ এবং সি রয়েছে। এই ভিটামিনগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুধু তাই নয়, ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি।
উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও এমন কিছু খাবার যেমন ব্রোকলি, ফুলকপি, গাজর, টমেটো, কুমড়া ইত্যাদি রয়েছে, যা ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফুসফুস পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও সমান জরুরি। কাজেই ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে একটি সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে ফুসফুসের নানা জটিলতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

টিপস

কপিরাইট-২০১৭ © মুহাম্মদ আলম
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
মোবাইল নং:- ০১৮১৩-......